ঝাড়গ্রাম : গোপীবল্লভপুরের সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী গ্রামগুলিতে রাসযাত্রা উপলক্ষে রয়েছে নৌকা ভাসানোর রীতি। জানা গিয়েছে, সূর্যদেবকে উৎসর্গ করে ভাসানো হয় নৌকা।
রাসযাত্রা উপলক্ষ্যে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের সুবর্ণরেখা তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা নদীতে নৌকো ভাসানোর রীতি ধরে রেখেছেন। প্রতিবছর গ্রামবাসীরা রাসপূর্ণিমার দিন সকালে রাধাকৃষ্ণের মন্দিরে পুজো দেওয়ার আগে সূর্যদেবকে এই নৌকো উৎসর্গ করেন। জানা গিয়েছে, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী গোপীবল্লভপুর এলাকার শ্যামসুন্দরপুর, ধর্মপুর ও আশুই গ্রামের বাসিন্দারা প্রতিবছরই সুবর্ণরেখা নদীতে নৌকো ভাসিয়ে রাধাকৃষ্ণের মন্দিরে রাসপুজো দিয়ে থাকেন। নৌকো ভাসানোর আগে নদীর তীরে একটি জায়গায় বালির মধ্যে গুঁজে আঁখ, হলুদ তুলসী, কচু এই ধরনের পাঁচটি গাছকে পুজো করা হয়। নদী থেকে জল নিয়ে গাছের উপরে ঢালার রীতি রয়েছে। এই গাছকে পুজো করার পরে একটি শোলার তৈরি নৌকোর মধ্যে বিভিন্ন রঙিন কাগজের পতাকা দিয়ে নদীতে ভাসানো হয়।
আরও পড়ুন: রেলে চাকরির টোপ! লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার ১
বৃহস্পতিবার রাসযাত্রা শুরুর দিনে সুবর্ণরেখার নদীতে গোপীবল্লভপুর এলাকার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা এই নৌকা ভাসিয়েছেন। এই নিয়ে গোপীবল্লভপুর এলাকার আশুই গ্রামের বাসিন্দা সনাতন দাস জানান, পূর্বপুরুষদের আমল থেকেই আমরা রাসযাত্রার সময়ে নৌকো ভাসানোর রীতি পালন করে আসছি। রাধাকৃষ্ণের মন্দিরে পুজোর আগে এই নৌকো ভাসিয়ে সূর্যদেবকে নিবেদন জানানো হয়। আসলে এই সংস্কৃতি সুবর্ণরেখা তীরবর্তী ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা এলাকায় বেশি প্রচলিত। আমাদের গোপীবল্লভপুর এলাকাটি এই তিন রাজ্যের একটি মিলিত জায়গা। এখান থেকে দশ কিলোমিটার মধ্যে রয়েছে ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড। নৌকো ভাসানোর পরে আমরা রাধাকৃষ্ণের মন্দিরে পুজো দিয়ে থাকি। রাসযাত্রার সময়ে প্রতিবছর এলাকায় এই রীতি পালিত হয়।
দেখুন অন্য খবর:







